আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য নীতিতে ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপ করা হলেও, পাকিস্তানের জন্য তা ১৯% ধার্য করা হয়েছে। এই ‘পক্ষপাতমূলক’ আচরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর পেছনে গভীর কূটনৈতিক কারণ লুকিয়ে আছে।
বৃহস্পতিবার আমেরিকা ৯৪টি দেশের জন্য পরিবর্তিত শুল্ক তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায় দেখা যায়, পাকিস্তানের ওপর শুল্ক ২৯% থেকে কমিয়ে ১৯% করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের ২০% এবং মায়ানমারের ৪০% শুল্কের তুলনায় কম।
পাকিস্তানের প্রতি ট্রাম্পের বিশেষ বদান্যতা
গত শুক্রবার ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যালের’ মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি বিশেষ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেন। এই চুক্তি অনুযায়ী, আমেরিকার আর্থিক সহায়তায় পাকিস্তানের খনিজ তেল ও গ্যাস ভান্ডার থেকে জ্বালানি উত্তোলন করা হবে। ট্রাম্প কটাক্ষ করে লেখেন, “এমন দিন যেন না আসে যখন ভারতকে পাকিস্তানের থেকেই তেল কিনতে হয়।” এই ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানের জন্য শুল্ক কমানোর মতো সুবিধা দেওয়া হলো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সুবিধা ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা এবং আসিম মুনিরের সঙ্গে তার বৈঠকের ফল হতে পারে। পাকিস্তান নানাভাবে ট্রাম্পকে ‘খুশি’ করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার তেলের দখল?
অনেকের ধারণা, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম তেলের খনি পাকিস্তানে থাকায় আমেরিকা সেই তেল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে। আর এই কারণেই ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে এবং ভারতবিরোধী মন্তব্য করছে।
যদিও আমেরিকার দাবি, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিই দুই দেশের সম্পর্কে এই সাম্প্রতিক তিক্ততার মূল কারণ। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।