পর্দার ‘আজমল কাসব’ এবার রাজনীতির ময়দানে! তৃণমূল ছেড়ে কেন যোগ দিলেন হুমায়ূনের দলে?

অভিনয় জগত থেকে রাজনীতির আঙিনা— টলিউড অভিনেতা শোয়েব কবীরের জীবন এখন এক নতুন মোড় নিল। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ছিন্ন করে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের নবগঠিত দল ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’ (JUP)-তে যোগ দিলেন তিনি। শুধু যোগদানই নয়, তরুণ এই তুখোড় অভিনেতাকে দলের রাজ্য মুখপাত্রের গুরুদায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূল ত্যাগের পেছনে বিস্ফোরক কারণ দর্শিয়েছেন শোয়েব। তাঁর সাফ কথা, দলের অন্দরে প্রবল গোষ্ঠীকোন্দল এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতি অবহেলা তাঁকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। এক সময় সায়নী ঘোষের টিমে কাজ করা শোয়েব ছিলেন যুব তৃণমূলের এক্সিকিউটিভ মেম্বার এবং মুর্শিদাবাদ জেলা যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি। তবে তাঁর অভিযোগ, “দলের ভেতরেই এমন অনেকে আছেন যারা দলের ভালো চান না। একটা দমবন্ধ করা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তাই সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলাম।”

হুমায়ুন কবীরের দলেই কেন?
মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্র শোয়েবের সাথে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সম্পর্ক অত্যন্ত পারিবারিক। শোয়েবের কথায়, “হুমায়ুন কবীর আমার মায়ের পাতানো ভাই। তাঁর লড়াই এবং আদর্শের সাথে যুক্ত হয়ে নিজের জেলার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।” রাজনীতির এই নতুন ইনিংস নিয়ে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী।

পর্দার ‘কাসব’ থেকে বাস্তবের জননেতা
অভিনয় জীবনেও শোয়েব কবীর এখন বেশ পরিচিত নাম। অনীক দত্তর ‘অপরাজিত’ হোক বা অঙ্কুশ হাজরার ‘মির্জা’— সবক্ষেত্রেই তাঁর উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। তবে ওটিটি সিরিজ ‘২০০৮ মুম্বই অ্যাটাকস’-এ কুখ্যাত জঙ্গি আজমল কাসবের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের চমকে দিয়েছিলেন। সাম্প্রতিককালে যিশু সেনগুপ্ত ও সৌরভ দাসের সঙ্গে ‘খ্যাপা ভাস্কর’ ছবির কাজও শেষ করেছেন তিনি।

রাজনীতি ও অভিনয়— দুই ময়দানেই শোয়েব কবীর এখন ঠিক কতটা প্রভাব ফেলতে পারেন, সেটাই এখন দেখার। জেইউপি-র মুখপাত্র হিসেবে তাঁর আক্রমণাত্মক মেজাজ শাসক শিবিরের জন্য কতটা অস্বস্তির কারণ হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy