রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। ঘাটালের বিদ্যাসাগর সেতুর কাছে এক পথসভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ঘোষণা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “যারা মাসে এক লাখের বেশি রোজগার করে, আপনি তাদের মাসে হাজার টাকার লোভ দেখাচ্ছেন।” এই মন্তব্য পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবনযাত্রা এবং তাদের আয়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সামঞ্জস্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন এবং সেখানে তাদের জীবনযাত্রা অনেক ভালো। তিনি বলেন, “আপনার কথায় কেউ টুপি পরবে না।” তার এই মন্তব্য তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্পের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে চলমান বিতর্কের একটি নতুন দিক তুলে ধরেছে।
ঘাটালের সাংসদ দেবকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “৩৪ বছর সিপিএম করেনি, ১৪ বছর মমতা করেনি, আমি কথা দিচ্ছি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বিজেপি করবে।” এর মাধ্যমে তিনি স্থানীয় সমস্যা সমাধানে তৃণমূলের ব্যর্থতাকে তুলে ধরে বিজেপির প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
এদিকে, শুভেন্দুর এই মন্তব্যগুলির পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তারাশঙ্কর রায় কটাক্ষের সুরে বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী আপনি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে রাখুন। আপনার খুব তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দরকার।” এই পাল্টাপাল্টি আক্রমণ থেকে স্পষ্ট যে পরিযায়ী শ্রমিক এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত প্রকল্পগুলি এখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্কের প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে। শুভেন্দুর এই সভা আসন্ন নির্বাচনের আগে জনসমর্থন আদায়ে বিজেপির কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।