সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধীদের ‘নৌটঙ্কি’ বন্ধ করার কথা বলে কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার অধিবেশন শুরুর মুখে প্রধানমন্ত্রী প্রথামাফিক বলেছিলেন, সংসদ ভোট হারের হতাশার বাষ্প ছাড়ার জায়গা নয়। তিনি বিরোধীদের ‘নৌটঙ্কি’ না করে সভার কাজ চলতে দেওয়ার আহ্বান জানান।
এর জবাবে কংগ্রেসের লোকসভা সদস্য প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা প্রধানমন্ত্রীর উপর ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন বা দিল্লির বায়ুদূষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার ইস্যুতে আওয়াজ তোলা কোনো ‘নৌটঙ্কি’ নয়। দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা বলেন, “নির্বাচনের পরিস্থিতি, দূষণ হল এই মুহূর্তের বিরাট ইস্যু। আমরা সেই বিষয়েই আলোচনা চাই। সংসদ রয়েছে তাহলে কীসের জন্য? এটা মোটেও নাটক নয়। মানুষের সমস্যা নিয়ে গণতান্ত্রিক আলোচনাকে নাটক বলে না।”
‘সব থেকে বড় ড্রামাবাজ’ মোদী:
কংগ্রেস সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ‘সব থেকে বড় ড্রামাবাজ’ বলে আক্রমণ করেছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ‘এক্স’ বার্তায় জবাব দিয়ে বলেন, “মানুষের সমস্যার কথা বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী আবার ড্রামাবাজির কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছেন। এই সরকার গত ১১ বছর ধরে সংসদীয় রীতিনীতির ধার ধারছে না। বিজেপির উচিত এখনই এই নৌটঙ্কি বন্ধ করা এবং মানুষের সমস্যার কথা সংসদে তুলে ধরা।”
খাড়্গে আরও অভিযোগ করেন, সাধারণ মানুষ বেকারি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আর্থিক বৈষম্য এবং দেশের দুর্মূল্য খনিজ লুটের সমস্যায় জর্জরিত। অন্যদিকে কেন্দ্রে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা উদ্ধতভাবে ড্রামাবাজির খেলা খেলে যাচ্ছে।
রাজ্যসভার এমপি জয়রাম রমেশও একই সুরে বলেছেন, মোদী নিজেই ‘সবথেকে বড় নৌটঙ্কি নাটকবাজির’ কথা বলেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি সুষ্ঠুভাবে সংসদ না চলে, তবে তার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর উপরই বর্তাবে, কারণ তিনিই সংসদে মানুষের সমস্যার কথা তুলতে দিচ্ছেন না।
উল্লেখ্য, শীত অধিবেশনের প্রথম দিনই বিরোধীদের দফায় দফায় হট্টগোলে লোকসভা দুপুরের মধ্যেই মুলতুবি করে দেওয়া হয়।