নির্বাচন কমিশন তথা খোদ নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে অত্যন্ত কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বড়সড় বিতর্কের জন্ম দিলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ঘটকপুকুর এলাকায় আয়োজিত একটি রাজনৈতিক সভা থেকে নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি ‘অপদার্থ’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। শওকতের অভিযোগ, রাজ্যে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং তাতে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তার সম্পূর্ণ দায়ভার কমিশনকেই নিতে হবে।
এদিনের জনসভা থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে শওকত মোল্লা দাবি করেন, “বাংলার মানুষের আবেগ, সংস্কৃতি এবং মাটির বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের কোনো ধারণাই নেই। তাঁরা ওপর থেকে একের পর এক অবাস্তব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং এই মানসিক চাপের কারণেই একাধিক প্রাণহানি ঘটছে।” তিনি সরাসরি কমিশনারকে বিঁধে বলেন, “যাঁরা এই আতঙ্কে মারা গিয়েছেন, তাঁদের রক্তের দায় ইলেকশন কমিশনার এড়াতে পারেন না। গণতন্ত্র রক্ষার নামে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”
উল্লেখ্য, এসআইআর প্রক্রিয়া এবং বিএলএ (BLA) ইস্যু নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংঘাত অনেকদিন ধরেই চলছে। মঙ্গলবার এই বিএলএ ২-দের প্রবেশের দাবিতে বিধায়ক অসিত মজুমদার কমিশনের হিয়ারিং পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেন। তৃণমূলের অভিযোগ, কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে এবং বাংলার মানুষকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করছে। শওকত মোল্লার এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে নতুন করে মেরুকরণের সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলগুলো অবশ্য এই মন্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে পাল্টা সমালোচনা শুরু করেছে। সব মিলিয়ে নির্বাচন বনাম তৃণমূলের এই লড়াই এখন এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেল।