পথ ভুলে বাড়ি ফেরার পথে পথ হারিয়েছিলেন। দিনের পর দিন হাঁটার পর আন্তঃরাজ্য সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ঢুকে পড়েন তিনি। গত প্রায় তিন মাস আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর অবশেষে মালদহের তিন বন্ধুর সহযোগিতায় নিজের ঠিকানা ফিরে পেলেন বিহারের সীতামাড়ি এলাকার এক ভবঘুরে ব্যক্তি।
বিহারের ওই ভবঘুরে ব্যক্তির নাম নন্দ মাতো। তাঁকে উদ্ধারকারী অন্যতম যুবক ভাস্কর ঘোষ জানান, তাঁরা তিন বন্ধু মিলে পুরাতন মালদহের কাদিরপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় ভবঘুরেদের সাহায্যের জন্য গিয়েছিলেন। সেখানেই নন্দ মাতোকে দেখতে পান। সামান্য মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও, তাঁর সঙ্গে কথা বলে নাম-ঠিকানা জানতে পারেন।
এরপর নন্দ মাতোকে রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দির মিশনে আশ্রয় দেওয়া হয়। তাঁর নাম-ঠিকানা জানার পর তিন বন্ধু ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিহারের সেই এলাকার স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করেন।
বন্ধুদের এই ডিজিটাল ও মানবিক উদ্যোগের ফলে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। খবর পেয়ে নন্দর পরিবারের সদস্যরা মালদহে ছুটে আসেন।
ভবঘুরে ওই ব্যক্তির ছেলে কৃষ্ণ কুমার বলেন, “গত তিন মাস আগে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর ফোন মারফত খবর পাই মালদহে রয়েছেন। পরিবারের সদস্যকে ফিরে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।”
বিগত তিন মাস ধরে কখনও খোলা আকাশের নিচে, কখনও আবার দোকানের সামনে—ঝড়বৃষ্টি সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্য দিয়ে দিন কাটানোর পর অবশেষে মালদহের এই তিন বন্ধুর সহযোগিতায় বাড়ি ফিরলেন নন্দ মাতো। বাড়ির সদস্যকে দীর্ঘ ৩ মাস পর ফিরে পেয়ে উদ্ধারকারী বন্ধুদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।