রবিবাসরীয় দুপুরে শীতের আমেজ মুহূর্তেই বদলে গেল আতঙ্কে। বছরের শেষে যখন আমোদ-প্রমোদ আর পিকনিকের মেজাজে তিলোত্তমা, ঠিক তখনই বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে কলকাতা মেট্রো। কুঁদঘাট (নেতাজি স্টেশন) এবং টালিগঞ্জ স্টেশনের মাঝে মাঝপথেই থমকে গেল মেট্রোর রেক। প্রায় এক ঘণ্টা সুড়ঙ্গের অন্ধকারে আটকে থাকার পর, প্রাণ হাতে নিয়ে থার্ড রেল লাইনের ওপর দিয়েই হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেল সাধারণ মানুষকে।
কী কারণে এই হুলুস্থুল? মেট্রো রেল সূত্রে খবর, যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে ট্রেনের ‘ইমার্জেন্সি ব্রেক’ আচমকা লক হয়ে যায়। আপ লাইনের ওই রেকটি আর এক চুলও নড়ার অবস্থায় ছিল না। দীর্ঘক্ষণ টানেলের ভেতর রেক আটকে থাকায় ট্রেনের ভেতরে থাকা যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রবীণ নাগরিক ও শিশুরা চরম অস্বস্তিতে পড়েন।
যাত্রীদের ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে কর্তৃপক্ষ: প্রায় এক ঘণ্টা পর যাত্রীদের টালিগঞ্জ স্টেশনে নামিয়ে আনা হয়। দীর্ঘক্ষণ কোনো ঘোষণা বা সাহায্য না মেলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এক মহিলা যাত্রী তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “মানুষকে শুধুই হেনস্থা করা হচ্ছে। কোনো সিস্টেম নেই মেট্রোর! এক ঘণ্টার ওপর আটকে রাখা হলো আমাদের, যত সব নাটকবাজি!”
বর্তমান পরিস্থিতি:
এই ঘটনার জেরে দক্ষিণ কলকাতার একটা বড় অংশে মেট্রো পরিষেবা কার্যত অচল।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি ভিত্তিতে ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য একটি নতুন রেক পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আপাতত পরিষেবা কাটছাঁট করে দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান পর্যন্ত মেট্রো চালানো হচ্ছে।
বছরের শেষ রবিবারে এমন নজিরবিহীন ভোগান্তিতে নাজেহাল শহরবাসী। ট্রেনের চাকা কখন স্বাভাবিক হবে, সেদিকেই তাকিয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।