আগামী ৯ আগস্ট ‘আর জি কর কাণ্ডে’র প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে এই অভিযানকে কেন্দ্র করে জনজীবন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হলো দুটি পৃথক মামলা। বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ একটি জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করেছে এবং বৃহস্পতিবার তার শুনানি হবে।
হাওড়ার এক বাসিন্দা এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন। তাঁর আবেদনের মূল বক্তব্য হলো, নবান্ন অভিযানের মতো কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হয়। বিশেষ করে স্কুল ফেরত শিশু, অফিসযাত্রী এবং জরুরি কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষদের ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই এমন অভিযানের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বাসিন্দা।
এর আগে, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও একই দাবিতে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যার শুনানি আজ, বুধবার হওয়ার কথা। এই দুটি মামলা থেকে বোঝা যাচ্ছে, নবান্ন অভিযানকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
গত বছর ১৪ আগস্ট ‘আর জি কর কাণ্ডে’র পর প্রথমবার বড় ধরনের নাগরিক আন্দোলন হয়েছিল। ওই ঘটনার এক বছর পরেও নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা এখনও বিচার পাননি বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে ৯ আগস্ট তাঁরা ফের নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন।
এই অভিযানে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই দলীয় পতাকা ছাড়াই বিজেপি নেতা-কর্মীদের এই অভিযানে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’ আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতির কারণে তারা এই মিছিলে অংশ নেবে না।
এই আইনি জটিলতা এবং রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে নবান্ন অভিযানের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা জানতে এখন হাইকোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে সকলে।