নববধূর সঙ্গে গল্প করেই কাটল রাত! ৭৫ বছরের সঙ্গরুরামের রহস্যজনক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য, পরিবার কেন চাইছে ময়নাতদন্ত?

জীবনের শেষ বেলায় এসে একাকিত্ব কাটাতে নতুন করে ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৭৫ বছর বয়সী সঙ্গরুরাম। কিন্তু সেই সুখের স্বপ্ন পূরণ হলো না। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার ৩৫ বছর বয়সী মানভাবতী নামের এক তরুণীকে বিয়ে করার পরদিনই মারা গেলেন এই বৃদ্ধ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলার কুচমুচ গ্রামে।

পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও বিয়ে
সঙ্গরুরামের প্রথম স্ত্রী এক বছর আগে মারা যান। নিঃসন্তান হওয়ায় তিনি একাই চাষাবাদ করে জীবন কাটাতেন। পরিবারের অনেকেই তাঁকে এই বয়সে বিয়ে করতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু সব আপত্তি উপেক্ষা করেই তিনি জালালপুর এলাকার বাসিন্দা মানভাবতীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে আদালতে রেজিস্ট্রি হয় এবং পরে স্থানীয় মন্দিরে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

নববধূর দাবি: ‘গল্প করেই কেটেছে রাত’
নববধূ মানভাবতী সাংবাদিকদের জানান, তাঁর স্বামী তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি সংসারের সব দায়িত্ব সামলাবেন এবং সঙ্গরুরাম নাকি বলেছিলেন, “আমি বাচ্চাদের দায়িত্ব নেব।” মানভাবতীর দাবি, বিয়ের রাতটি তাঁরা দু’জনে গল্প করেই কাটিয়েছিলেন। এরপর হানিমুনে যাওয়ারও পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।

কিন্তু পরের দিন সকালেই হঠাৎ সঙ্গরুরামের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

গ্রামে গুঞ্জন, আত্মীয়দের সন্দেহ
সঙ্গরুরামের হঠাৎ এই মৃত্যুতে গ্রামে নানান আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে স্বাভাবিক বয়সজনিত মৃত্যু বললেও, গ্রামবাসীদের একাংশ এবং দিল্লিতে বসবাসকারী তাঁর ভাইপোরা এই মৃত্যুকে সন্দেহজনক মনে করছেন।

পরিবারের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, তাঁরা না আসা পর্যন্ত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে না। এদিকে, গ্রামবাসীর একাংশও ঘটনার সত্যতা জানতে ময়নাতদন্তের দাবি করেছেন। এই জোরালো দাবির মুখে পুলিশ এখন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy