অবিরাম বৃষ্টি এবং তিস্তার জলস্ফীতির কারণে দক্ষিণবঙ্গের নদিয়া জেলায় এবার বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাগীরথী নদীর জল বিপদসীমার উপরে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। আজ সকালে ভাগীরথীর জলস্তর ছিল ৮.৬৬ মিটার, যা স্বাভাবিক বিপদসীমা (৮.৪৪ মিটার) থেকে অনেক উপরে।
লাগাতার বৃষ্টির কারণে এমনিতেই রাজ্যের বহু এলাকা জলমগ্ন। এই অবস্থায় ভাগীরথীর জল বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু এলাকায় বসবাসকারী দরিদ্র মানুষেরা আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করায় তাঁদের ঘরবাড়ি এবং ফসল ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ বিপদসীমা হলো ৯.০৬ মিটার। যদি জলস্তর এই সীমা অতিক্রম করে, তবে তা ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এই আশঙ্কায় নদিয়া জেলা প্রশাসন এখন থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি, একাধিক ত্রাণ শিবির প্রস্তুত রাখা হয়েছে যাতে প্রয়োজন পড়লে মানুষকে সেখানে সরিয়ে নেওয়া যায়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির উপর প্রতি মুহূর্তে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। এদিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিজে সরেজমিনে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসন উভয়ই বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় এড়াতে প্রার্থনা করছে।