১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ১৬০ বছরের প্রাচীন এই পৌরসভা এলাকায় প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের আনাগোনা থাকে। প্রশাসনিক কাজ থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য—সব মিলিয়ে কৃষ্ণনগরে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ আকাশছোঁয়া। দীর্ঘদিন ধরেই শহরবাসী রাস্তার ধারের আবর্জনার স্তূপ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এই অভিযোগ ঘোচাতেই কোমর বেঁধে নামল প্রশাসন। এদিন কর্মসূচিতে জেলাশাসক অনীশ দাশগুপ্ত এবং পুলিশ সুপার অমরনাথ কে-র উপস্থিতি শহরবাসীকে এক ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে।
কী থাকছে এই নতুন উদ্যোগে? পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের অধীনে কৃষ্ণনগর শহরের প্রতি ১০০ মিটার অন্তর আধুনিক ডাস্টবিন বসানো হবে। বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তাঁরা যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলে ওই নির্দিষ্ট ডাস্টবিনগুলো ব্যবহার করেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেই জঞ্জাল সরিয়ে নিয়ে যাবে পৌরসভার সাফাই কর্মীরা। মহকুমা শাসক এবং পৌরসভার এই সমন্বিত উদ্যোগে কৃষ্ণনগরকে আরও সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর করে তোলাই মূল লক্ষ্য।
কৃষ্ণনগরের সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও এই ‘ক্লিন কে.এম’ অভিযানে শামিল হয়েছেন। নতুন বছরের শুরুতেই শহরকে এক ঝকঝকে ও পরিচ্ছন্ন রূপ দিতে প্রশাসনের এই উদ্যোগ সফল হলে, কৃষ্ণনগর যে রাজ্যের অন্যতম আদর্শ শহর হয়ে উঠবে, সেই আশায় বুক বাঁধছেন শহরবাসী।