ধর্মস্থল গণকবর মামলা, তদন্তে SIT, নতুন করে উদ্ধার হাড়গোড়, মুখ খুললেন সমাজকর্মী

কর্ণাটকের ধর্মস্থলে গণকবর মামলার তদন্তে যুক্ত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) সোমবার নতুন করে ১১টি স্থান থেকে মানব কঙ্কাল ও হাড়গোড় উদ্ধার করেছে। এই ঘটনাটি মামলার তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সম্প্রতি ধর্মস্থল মন্দিরের একজন প্রাক্তন সাফাই কর্মী কর্তৃক করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু হয়। ওই কর্মী দাবি করেন যে, ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে একাধিক নারী ও নাবালিকার দেহ অশনীয়ভাবে কবর দেওয়া বা দাহ করা হয়েছিল, যাদের অনেকের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হওয়ার পর কর্ণাটক সরকার SIT গঠন করে। ৩১ জুলাই নেত্রাবতী নদীর তীর থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।

সোমবার এক সমাজকর্মী SIT-এর কাছে নতুন তথ্য প্রদান করেন। তিনি দাবি করেন যে, ২০০২-২০০৩ সালে তিনি কিশোরীদের দেহ নিয়ম না মেনে দাহ করার ঘটনার সাক্ষী। তিনি আরও জানান যে, ধর্মস্থল এলাকায় একাধিক কবর দেওয়া হয়েছিল। তার এই অভিযোগ তদন্তের পরিধি আরও বাড়িয়েছে।

SIT অত্যন্ত সতর্কতা ও গোপনীয়তার সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে। জনসাধারণের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর এবং বেলথানগড়ি থানায় একটি বিশেষ ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল, যে কোনো ব্যক্তি যদি এই বিষয়ে কোনো তথ্য জানেন, তবে তিনি যেন নিরাপদে তা তদন্তকারী দলকে জানাতে পারেন। ধর্মস্থলের মতো একটি পবিত্র স্থানে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার উন্মোচন স্থানীয় এবং রাজ্যব্যাপী মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy