স্ত্রীকে লুকিয়ে আরও এক বিয়ে করার অভিযোগে মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ত্রিমোহিনী কিসমতদাপটে। পেশায় সেনাকর্মী স্বামীর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন প্রথমপক্ষের স্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট দাবি, স্ত্রীর স্বীকৃতি এবং সংসার করার পূর্ণ অধিকার না পেলে তিনি এই ধরনা থেকে উঠবেন না। ইতিমধ্যেই বিট্টু দেবনাথ নামে ওই সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে হিলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী রিঙ্কি দেবনাথ।
রিঙ্কি জানান, ২০১৯ সালে বিট্টুর সঙ্গে তাঁর রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছিল। তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন এবং বেশ কয়েক মাস একসঙ্গে ছিলেন। সেই সময় বিট্টু তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিন বছরের মধ্যে সামাজিক রীতি মেনে তাঁদের বিয়ে হবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের দূরত্ব বাড়তে থাকে এবং প্রায় এক বছর আগে বিট্টু তাঁর বিরুদ্ধে বালুরঘাট আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন।
এই পরিস্থিতিতে গত রবিবার বিট্টু গোপনে অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সোমবার এই খবর রিঙ্কির পরিবারের কাছে পৌঁছলে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। স্ত্রীর স্বীকৃতি ও সামাজিক সম্মানের দাবিতে তিনি ম্যারেজ সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে মঙ্গলবার স্বামীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন।
রিঙ্কি বলেন, “আমার সঙ্গে বিট্টুর রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছে। আমরা পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম এবং বেশ কিছু মাস একসঙ্গে ছিলাম। এরই মধ্যে শুনি ও আরেকজনকে বিয়ে করেছে। আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি ও সামাজিক সম্মান চাই। সেই দাবিতেই ধরনায় বসেছি এবং হিলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।”
এ বিষয়ে সেনাকর্মীর সৎ বাবা সাধন শীল জানান, বিট্টু তাঁর স্ত্রীর প্রথম পক্ষের সন্তান। তিনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারেন। তবে তিনি চান, এই ঘটনার আইনি সমাধান হোক।
হিলি থানার আইসি শীর্ষেন্দু দেবনাথ জানিয়েছেন, তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।