‘দোষীদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করব’! দুর্গাপুরের নির্যাতিতার পাশে ওড়িশার CM, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে গণধর্ষণের শিকার ওড়িশার ২৩ বছর বয়সি ডাক্তারি ছাত্রীকে সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। সোমবার গভীর রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর তিনি এই আশ্বাস দেন।

ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস:
নির্যাতিতার সঙ্গে কথোপকথনে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একদম চিন্তা করবেন না। ওড়িশার সরকার আপনার এবং আপনার পরিবারের পাশে রয়েছে। একদম ধৈর্য হারাবেন না।” তিনি নির্যাতিতার দ্রুত সুস্থতা কামনা করার পাশাপাশি তাঁর পড়াশোনায় প্রয়োজনীয় সমস্তরকম সহায়তা করার আশ্বাসও দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি দোষীদের কড়া শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।

এদিন নির্যাতিতা ওড়িশার যে কোনও মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানান। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনি একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী। সেকারণে কীভাবে আপনাকে স্থানান্তর করা যায়, সেই বিষয়ে আমাকে প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নিতে হবে। আমি এই বিষয়ে তদন্তের জন্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি।” মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মা-বাবা এবং ওড়িশা মহিলা কমিশনর চেয়ারপার্সন শোভানা মোহান্তির সঙ্গেও কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এই কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।

উন্নত চিকিৎসা ও মূল অভিযুক্ত অধরা: বিস্ফোরক মহিলা কমিশন:
সোমবার ওড়িশা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন শোভানা মোহান্তির নেতৃত্বে তিনজনের একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে। প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁরা নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “নির্যাতিতার চিকিৎসা আরও উন্নত হওয়া দরকার। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে একজন মহিলা, তারপরও রাতে মহিলাদের বেরোনোর কথা বলা উচিত হয়নি।” পাশাপাশি তিনি এই ঘটনার পিছনে যে মূল অভিযুক্ত রয়েছে সে এখনও অধরা বলে দাবি করেন।

পুলিশের বক্তব্য:
এদিকে, সোমবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী জানান, “ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অত্যন্ত বেদনায়ক একটি ঘটনা। নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা করেছি। আমরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।” পুলিশ ধৃত পাঁচ অভিযুক্ত অপু বাউরি, সেখ রিয়াজউদ্দিন, সেখ শফিকুল, সেখ ফিরদৌস ও সেখ নাসিরউদ্দিনকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশ কমিশনার আরও জানান, নির্যাতিতা পড়ুয়ার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার ডাকা হচ্ছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy