দুর্গতির প্রতীক বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে, বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা

মসৃণ রাস্তার বদলে বড় বড় খানাখন্দ, গর্ত আর ভাঙা পিচ— এই ছবি এখন প্রতিদিনের বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথের বেহাল দশা দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গাড়ি চালক ও নিত্যযাত্রীরা। ডানলপ, দক্ষিণেশ্বর, বালি সহ একাধিক এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা ব্যবহার করেন অফিস, স্কুল বা অন্যান্য প্রয়োজনে।

বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের বর্তমান অবস্থা রীতিমতো উদ্বেগজনক। চার চাকার গাড়ির যাত্রীরাও যেমন সমস্যায় পড়ছেন, তেমনই বাইক চালকদের দুর্দশা চরমে। প্রতি মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কপথে চলছে ছোট-বড় হাজারো যানবাহন। দিনের বেলাতেও রাস্তার অবস্থা খারাপ হলেও, রাতের চিত্র আরও ভয়াবহ। এরপর বৃষ্টি হলে বিপদ আরও চরম আকার ধারণ করে, কারণ গর্তগুলো জলে ভরে গিয়ে চালকদের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা এখন এই এক্সপ্রেসওয়ের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। অনেক নিত্যযাত্রী আক্ষেপ করে বলছেন, সরকার দুর্গাপূজার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান না দিয়ে যদি এই বেহাল রাস্তার দিকে নজর দিত, তাহলে সাধারণ মানুষের দুর্দশা কমতো।

ক্ষুব্ধ এক গাড়ি চালক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “চাকা পাংচার হয়ে যাচ্ছে। ভয়ে ভয়ে গাড়ি চালাই। রাস্তার এই অবস্থা খুবই বেহাল।” অপরদিকে এক বাইক চালক তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রচুর ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্ষাকালে রাস্তায় জল হলে বোঝা যায় না কোথায় গর্ত। বিপদের ঝুঁকি আছে। কী অবস্থা দেখুন!” আরেক বাইক আরোহী যোগ করেন, “এটা তো এক্সপ্রেসওয়ে। যেমন রাস্তা হওয়া উচিত তেমন তো বানানো হয় না। বিশেষ করে বর্ষাকালে বিপদ আরও বাড়ে। গর্ত হলেই ইট দিয়ে দেয়। গতকালও একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে।”

জনগণের এই অভিযোগ এবং ভোগান্তি দ্রুত নিরসনে প্রশাসনের পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের মতো একটি ব্যস্ততম সড়কের এই বেহাল দশা দ্রুত মেরামত না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy