দুবাই শেখের জন্য সেক্স পার্টনার খুঁজছেন?’ গ্রেফতার স্বঘোষিত ধর্মগুরুর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে চরম বিস্ফোরক তথ্য!

দিল্লির একটি ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের ১৭ জন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া স্বঘোষিত ধর্মগুরু স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীর একের পর এক কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসছে। দীর্ঘ দু’মাস গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর আগ্রা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এবার পুলিশের হাতে আসা তাঁর একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে উঠে এসেছে তরুণী ছাত্রীদের শোষণ এবং অশ্লীল প্রস্তাবের এক বিস্ফোরক চিত্র।

‘দুবাই শেখের জন্য বন্ধু চাই?’
উদ্ধার হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনগুলির মধ্যে একটি চ্যাট বিশেষভাবে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী এক তরুণীকে ‘দুবাই শেখ’-এর জন্য একজন সেক্স পার্টনার জোগাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন!

তিনি এক ছাত্রীকে লিখছেন, “একজন দুবাই শেখ সেক্স পার্টনার খুঁজছেন, তোমার কি কোনও ভালো বন্ধু আছে?” মেয়েটি উত্তরে ‘কেউ নেই’ জানালে তিনি ফের জিজ্ঞাসা করেন, “এটা কী করে সম্ভব?” এরপর তিনি ওই ছাত্রীকে তার ক্লাসমেট বা জুনিয়রদের কথা জিজ্ঞেস করেন।

‘বেবি’ সম্বোধন ও অশ্লীল প্রস্তাব
এটাই শেষ নয়। অন্যান্য চ্যাটগুলিতেও এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে একাধিক ছাত্রীকে বারবার আপত্তিকর নামে সম্বোধন করতে দেখা গেছে। তিনি ছাত্রীদের ‘সুইটি বেবি ডটার ডল’ বা ‘বেবিইইই’ বলে ডাকতেন। গভীর রাতে তিনি অযথা বারবার মেসেজ পাঠাতেন, যেমন— “বেবি তুমি কোথায়?” এবং “গুড মর্নিং বেবি”।

সবচেয়ে বিস্ফোরক হল একটি চ্যাট, যেখানে তিনি এক ছাত্রীকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন, “তুমি কি আমার সঙ্গে ঘুমাবে না?”। কিছু কথোপকথনে আবার তিনি নাচ-গানের প্রসঙ্গ তোলেন: “চলো ডিস্কো ডান্স করি।”

গ্রেফতারি ও পুলিশি হেফাজতে জেরা
দিল্লির শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট রিসার্চের অন্তত ১৭ জন ছাত্রী স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। গত আগস্টে এফআইআর দায়ের হওয়ার পর থেকেই এই ‘দিল্লির বাবা’ পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস বৃন্দাবন, মথুরা ও আগ্রার ছোট হোটেলে গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর আগ্রার তাজগঞ্জ এলাকার একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রার ওই হোটেলে ‘পার্থ সারথি’ নামে চেক-ইন করেছিলেন। বর্তমানে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। পুলিশ তাঁর প্রতিষ্ঠানের তিনজন মহিলা সহযোগীর মুখোমুখি তাঁকে জেরা করবে। এই সহযোগীরা ছাত্রীদের হুমকি দেওয়া এবং আপত্তিকর মেসেজ ডিলিট করতে সাহায্য করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁসের ঘটনাটি সমাজের কোন দিকটিকে তুলে ধরে বলে আপনার মনে হয়?

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy