রাজনৈতিক হার না মানা বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বাড়িতে এসে কিস্তিমাত করতে গিয়েছিল এক ধুরন্ধর প্রতারক। তবে এই দাবার চালে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ল সেই ভুয়ো খেলোয়াড়। অতীতে আন্তর্জাতিক দাবাড়ু সেজে সাংসদের থেকে টাকা নিয়ে গিয়েছিল সে। দশমীর দিন আবারও টাকা চাইতে আসতেই সন্দেহ হয় সাংসদের।
একবার ঠকানোর পর ফের সাহস!
সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানান, অতীতে ওই ব্যক্তি আন্তর্জাতিক স্তরের দাবা খেলার একজন সুদক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার, দশমীর দিন যখন সাংসদ মহিলাদের সেলাই মেশিন বিতরণ এবং দুস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব বিতরণের মতো জনকল্যাণমূলক কাজ করছিলেন, ঠিক তখনই সেই ভুয়ো ব্যক্তি আবার হাজির হয়।
সন্দেহ: সে জানায়, বিদেশে খেলতে যেতে তার আরও ১৫ হাজার টাকা সহযোগিতা দরকার। একবার ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পর ফের ১৫ হাজার টাকা সহযোগিতা চাইলে সাংসদের সন্দেহ হয়।
ঠিকানার অমিল: প্রথম দিন সে নিজের বাড়ি রানাঘাটের কুপার্সে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু এদিন জানায় মাঝের গ্রামে!
ইন্টারনেটেই ফাঁস হলো আসল সত্যি
সাংসদ জগন্নাথ সরকার এরপর আর দেরি করেননি। তিনি ইন্টারনেট সার্চ করে সেই ব্যক্তির খেলার যাবতীয় তথ্য এবং বিদেশে কোথায় খেলতে যাচ্ছেন সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন। খোঁজ নিতেই সকলের চোখ কপালে!
ইন্টারনেটে এ ধরনের কোনও সংস্থার অস্তিত্বই নেই, এমনকি বিদেশে খেলার বিষয়টিও সম্পূর্ণ ভুয়ো। নিজের পরিচয় পর্যন্ত ঠিকমতো না পেয়ে বাধ্য হয়ে সাংসদ শান্তিপুর থানার পুলিশ প্রশাসনকে গোটা বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, এই প্রতারক রানাঘাটের বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও একই ভাবে ২৫ হাজার টাকা প্রতারণা করে নিয়ে এসেছিল। শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক হার না মানা সাংসদকে ঠকাতে গিয়ে নিজেই ধরা পড়ল এই নকল দাবাড়ু। তার এখন ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে।