টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ে ধসের কারণে উত্তর সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। দশমীর দিনেও বহু পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দাকে এর জেরে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম, বরং নতুন করে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে।
অচল গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলি
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গন-চুংথাং সংযোগকারী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বর্তমানে অচল হয়ে পড়েছে। ক্ষতির মুখে পড়া গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলি হলো:
টুং–নাগা সড়ক: এই নতুন সড়কটি ধস এবং সিঙ্কিং জোনের কারণে পুরোপুরি বন্ধ।
ফিডাং-সাংলালাং রোড: রিংখোলা এলাকায় ধস নামায় এই রাস্তাটিও থমকে আছে।
সাংলালাং-শিপগিয়ার রোড: এডিএমএস অঞ্চলে এই সড়কটিও আটকে গেছে। তবে স্বস্তির বিষয় হলো, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার ও পুনর্গঠনের কাজ চলছে।
সবচেয়ে সংকটজনক অবস্থা তৈরি হয়েছে চুংথাং-লাচেন রাস্তায়, যা এখনও পুরোপুরি অবরুদ্ধ।
পর্যটকদের জন্য স্বস্তির খবর
বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে, যা পর্যটকদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে:
লাচেন থেকে থাঙ্গু এবং সেখান থেকে গুরুডোংমার পর্যন্ত রাস্তা সম্পূর্ণ সচল।
চুংথাং-লাচুং এবং লাচুং-ইয়ুমথাং-ডঙ্কিলা রুটও একেবারেই সচল রয়েছে।
গ্যাংটক সংযোগকারী রুট: মঙ্গন থেকে গ্যাংটক যাওয়ার রাকডং-টিনটেক রোড পুরোপুরি খোলা। এছাড়া, মাঙ্গান-ডিকচু সড়কও চালু রয়েছে। ফোডং রোড দিয়ে শুধু হালকা গাড়ি চলাচল করছে।
প্রশাসনের সতর্কতা
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং নতুন করে ধস নামার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই প্রশাসন ইতিমধ্যেই পর্যটক ও স্থানীয়দের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে সতর্কবার্তা জারি করেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পাহাড়ে
(বিঃদ্রঃ: ছবিটি আজকের নয়, প্রতীকী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে)