উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপির অন্দরের এক গোপন বৈঠক। কুশিনগরের বিজেপি বিধায়ক পিএন পাঠকের বাসভবনে সম্প্রতি আয়োজিত একটি সভা রাজ্য রাজনীতিতে হট্টগোল ফেলে দিয়েছে। এই সভায় বিজেপির পাশাপাশি বিভিন্ন দলের প্রায় ৩৫-৪০ জন ব্রাহ্মণ নেতা অংশ নিয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, সেই সভায় ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের প্রতি অবহেলা এবং প্রশাসনিক দমন-পীড়নের প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়েছে। এই ঘটনাকে দলের অনুশাসনের পরিপন্থী হিসেবে দেখছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া অবস্থান নিয়েছেন উত্তর প্রদেশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি পঙ্কজ চৌধুরী। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, কোনোভাবেই জাতপাত ভিত্তিক বা গোষ্ঠীগত রাজনীতি সহ্য করা হবে না। মথুরায় বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “আমি বিধায়কদের সতর্ক করেছি। ভবিষ্যতে এমন কোনো সভা যাতে দলের নীতির বিরুদ্ধে না যায়, তার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
রাজ্য সভাপতি আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, বিজেপি একটি নীতিবান রাজনৈতিক দল এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণীর রাজনীতি করে না। তাঁর মতে, দলের জনপ্রতিনিধিরা যখন জাতপাতের ভিত্তিতে আলাদা সভা করেন, তখন তা সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা দেয়। তিনি সাফ জানিয়েছেন, “দলের কর্মীরা স্বজনপ্রীতি করেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে আমরা উন্নয়ন ও জাতীয়তাবাদের রাজনীতি করি। বিরোধীদের জাতপাত ভিত্তিক রাজনীতি এখানে খাটবে না।”
পঙ্কজ চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে, এটিই শেষ সতর্কবার্তা। যদি কোনো জনপ্রতিনিধি ভবিষ্যতে আবারও এই ধরনের কোনো গোষ্ঠীগত বৈঠকে অংশ নেন, তবে তাকে দলীয় সংবিধান অনুযায়ী ‘শৃঙ্খলাভঙ্গ’ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২০২৭-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তর প্রদেশে এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও জাতপাতের সমীকরণ মেলাতে বিজেপি যে বেশ চাপে, তা এই কড়া নির্দেশেই স্পষ্ট।