“দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে কেউ নন”— বুধবার সংসদ ভবনে তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠকে এই বার্তাই আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভা উভয় কক্ষের সাংসদদের কাজ এবং তাঁদের আচার-আচরণ নিয়ে এদিন একগুচ্ছ কড়া নির্দেশিকা জারি করেছেন তিনি।
বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ সংসদ ভবনে তৃণমূলের সংসদীয় দলের অফিসে এই বিশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শতাব্দী রায়, সৌগত রায়, দোলা সেন, সাগরিকা ঘোষ এবং জুন মালিয়ার মতো অভিজ্ঞ ও নবীন সাংসদরা।
📜 সাংসদদের জন্য নতুন ‘ফতোয়া’: কী কী নিয়ম মানতে হবে?
দলীয় সূত্রে খবর, সংসদে তৃণমূলের কার্যকলাপ আরও সুসংহত করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু নতুন নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন:
-
মমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ: এখন থেকে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে হলে লোকসভা ও রাজ্যসভা, উভয় কক্ষের সাংসদদেরই দলের থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে।
-
সংসদে বিষয় উত্থাপন: সংসদে কোনও জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা প্রশ্ন উত্থাপন করার আগেও দলীয় নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেত বাধ্যতামূলক।
-
অনুমতি প্রক্রিয়া: এবার থেকে সংসদে কর্মসূচির বিষয়ে চিফ হুইপ এবং ডেপুটি লিডারের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
🤝 উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদরা
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়, মমতাবালা ঠাকুর, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অরূপ চক্রবর্তী এবং মিতালি বাগ-সহ দিল্লিতে উপস্থিত তৃণমূলের প্রায় সমস্ত সাংসদ। মূলত সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে দলের রণকৌশল কী হবে এবং সাংসদরা কীভাবে নিজেদের উপস্থাপন করবেন, তা নিয়েই এই ‘ডিসিপ্লিনারি’ ক্লাস নিয়েছেন অভিষেক।
রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের অন্দরে সমন্বয় বৃদ্ধি এবং কোনওরকম ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ রুখতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন। এখন থেকে দিল্লির দরবারে তৃণমূল সাংসদদের প্রতিটি পদক্ষেপ যে দলের কড়া নজরদারিতে থাকবে, তা এদিনের বৈঠকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।