ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা DRDO (Defence Research and Development Organisation) দেশীয় যুদ্ধবিমান তেজস এমকে ১এ (TEJAS MK 1A)-কে আরও শক্তিশালী করতে একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে। এই ফাইটার জেটের জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ রক্ষাকবচ—যা হলো DRDO-র তৈরি এয়ারবোর্ন ইলেক্ট্রনিক্স ওয়ারফেয়ার স্যুট (Airborne Electronics Warfare Suit), যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বয়ং রক্ষাকবচ’।
DRDO-র মূল উদ্দেশ্য ও সহায়ক কম্পিউটারের ভূমিকা:
তেজস যুদ্ধবিমানকে ভারতের সামরিক বিমান চলাচলে স্বনির্ভর করে তোলা এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য। এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি সহায়ক মিশন কম্পিউটার (Auxiliary Mission Computer) যুক্ত করা। এই নতুন সিস্টেমটি ডিজিটাল ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ও মিশন পরিচালনার কম্পিউটারের (DFCC এবং MMDC) পাশাপাশি কাজ করবে।
নিরাপত্তা বৃদ্ধি: যদি উড়ানের সময় কোনো কারণে একটি কম্পিউটার সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়, তবে সহায়ক কম্পিউটারটি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে।
স্থিতিস্থাপকতা: এর ফলে যুদ্ধবিমানটি যেকোনো সিস্টেম ব্যর্থতার সময়েও অনেক বেশি স্থিতিস্থাপক এবং সক্ষম থাকবে।
সেন্সর ফিউশন ও অত্যাধুনিক সিস্টেম:
তেজস এমকে ১এ-তে এখন ব়্যাডার, ইলেকট্রনিক-ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, ইনফ্রারেড ট্র্যাকিং-সহ একাধিক অনবোর্ড সেন্সর থেকে পাওয়া তথ্য একত্রিত করে পাইলটের সামনে আসবে। এই ‘সেন্সর ফিউশন’ পাইলটকে দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে, যা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে অপারেশনের সময়কার চাপ কমাতে অত্যন্ত জরুরি।
তেজস এমকে২ দেশীয় প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে। উত্তম অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিকলি স্ক্যানড অ্যারে (AESA) রাডার, ডিজিটাল ফ্লাই-বাই-ওয়্যার কন্ট্রোল এবং মডুলার আর্কিটেকচারের মতো ভারতীয় নকশাকৃত প্রযুক্তির একীকরণ অভ্যন্তরীণভাবে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিকাশে ভারতের ক্রমবর্ধমান আস্থা প্রমাণ করে। এই উদ্যোগ বিদেশী সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরতা কমাতেও সাহায্য করবে।