কোচবিহার সফরে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁর সফরের আগেই রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাদের এক কর্মীকে মারধর করেছে। এই ঘটনার পর থেকেই কোচবিহারে রাজনৈতিক চাপানউতোর বেড়েছে।
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, শুভেন্দু অধিকারীর সফরের আগেই তাদের এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। এই হামলার জন্য তারা সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্ব তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর সফরের পাল্টা হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসও কোচবিহারে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ, মিছিল এবং প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে তৃণমূল। শাসক দলের এই পদক্ষেপকে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা হিসেবে দেখছে বিজেপি।
এই পাল্টা কর্মসূচি এবং বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা আমল দেননি। তিনি এই ধরনের বিক্ষোভকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তবে একইসঙ্গে কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা দিয়ে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। আমরা সমস্ত বাধা পেরিয়ে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।” তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক, তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।” এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর আক্রমণাত্মক অবস্থান বজায় রেখেছেন।
কোচবিহারে এই রাজনৈতিক উত্তেজনার ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।