রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় টালমাটাল বাংলাদেশ। ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর রাজধানী ঢাকা-সহ একাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র হিংসা। এরই মাঝে হিন্দু যুবক দীপু দাসের হত্যাকাণ্ড সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাকে আরও উসকে দিয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মৌলবাদী হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির ‘ঢাকেশ্বরী’কে এখন কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রেখেছে সশস্ত্র পুলিশ।
৫১ সতীপীঠের অন্যতম এই পবিত্র স্থানে সতীর মুকুটের রত্ন পড়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। দ্বাদশ শতাব্দীতে রাজা বল্লাল সেনের নির্মিত এই মন্দিরটি কেবল হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানই নয়, বাংলাদেশের ঐতিহ্যের প্রতীক। তবে গত জুলাই মাস থেকেই চরমপন্থীদের ক্রমাগত হুমকির মুখে রয়েছে এই শক্তিপীঠ। বর্তমান অরাজক পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু এবং তাদের উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।
সোমবার রাতেও ঢাকার শরীয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে ছায়ানট, উদীচী এবং সংবাদপত্রের দফতরেও। সামনেই নির্বাচন, আর তার আগেই এমন তাণ্ডব ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ১৯৭১-এর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এই মন্দিরটি বারবার পুনর্নির্মিত হলেও, বর্তমান অস্থিরতায় এটি কতটা নিরাপদ থাকবে, তা নিয়ে শঙ্কিত ভক্তরা।