রাজ্যে ফের গণধর্ষণের শিকার হলেন এক ডাক্তারি পড়ুয়া। এবারও ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। দুর্গাপুরের কাছে জঙ্গলে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ভিন রাজ্যের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্যদিকে, বর্ধমানের একটি পুরনো গণধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত পাঁচজন অপরাধীকেই চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
বর্ধমানের ঘটনায় অভিযুক্ত চিহ্নিত:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের ওই ঘটনায় প্রথমে তিনজন অপরাধী ডাক্তারি ছাত্রীর মোবাইল কেড়ে নেয় এবং তাদের মধ্যে একজন তাকে ধর্ষণ করে। এরপর এই তিনজন এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর অন্য দু’জন সেখানে আসে এবং মেয়েটিকে আশ্বাস দেয় যে তারা প্রথম তিনজন ধর্ষককে খুঁজে আনবে। এই সময় মেয়েটি তাদের মোবাইলে ফোন করে। প্রযুক্তির সাহায্যেই ওই ফোন কলগুলি ট্রেস করে বাকি দু’জন অপরাধীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এখন শুধু তাদের গ্রেপ্তারের অপেক্ষা।
দুর্গাপুরের ঘটনায় ধৃত ৩, চলছে জেরা:
এদিকে, দুর্গাপুরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিজড়া এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। আজই তাদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনস্থ দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানা পরানগঞ্জ কালীবাড়ি শ্মশান এলাকার জঙ্গলে ড্রোন উড়িয়ে তদন্ত চালিয়েছে।
‘টাওয়ার ডাম্পিং’ পদ্ধতি:
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের যে জঙ্গলে ঘটনাটি ঘটেছে, মেডিক্যাল কলেজ থেকে তার দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। ঘটনার তদন্তে দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানার ওসি এবং এসিপি দুর্গাপুর ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনার তদন্তে ‘টাওয়ার ডাম্পিং’ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ঘটনার নির্দিষ্ট সময়ে ঘটনাস্থলের আশেপাশের কোটা এলাকায় কোন কোন মোবাইল ফোন সক্রিয় ছিল এবং কোন ফোন থেকে কোন কল করা হয়েছিল, সেই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই প্রযুক্তিগত তদন্তের মাধ্যমেই ঘটনার গভীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।