মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক আরোপের ঘোষণার ঠিক পরেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন ভারত সফরের খবরটি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিতে ভারতের কৌশলগত অবস্থানের এক গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পেছনে দুটি কারণ: ভারতের বিদ্যমান শুল্কের পাল্টা ব্যবস্থা এবং রাশিয়া থেকে তেল কেনা। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের সফরকে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার একটি প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আমেরিকার চাপের বিরুদ্ধে এক ধরনের বার্তা।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বর্তমানে মস্কোতে আছেন এবং পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে। এই বৈঠক এবং পুতিনের আসন্ন সফর থেকে বোঝা যায়, ভারত তার নিজস্ব জাতীয় স্বার্থে রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও ট্রাম্পের পদক্ষেপকে ‘অন্যায্য’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা কোনো তৃতীয় দেশের চাপে প্রভাবিত হবে না।
এই সফরের মাধ্যমে উভয় দেশ প্রতিরক্ষা, জ্বালানি এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন চুক্তি করতে পারে, যা ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ফলে সৃষ্ট বাণিজ্যিক চাপকে প্রশমিত করতে সাহায্য করবে। পুতিনের সফরটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন আমেরিকা ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার এই ঘনিষ্ঠতা আন্তর্জাতিক মহলে এক নতুন মেরুকরণের জন্ম দিতে পারে।