সল্টলেক স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যে কেলেঙ্কারি তৈরি হয়েছে, তাতে এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন—টিকিটের টাকা ফেরত কবে পাবেন দর্শকরা? এই বিতর্কের মধ্যেই বিধাননগর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক শতদ্রু দত্ত। পুলিশি জেরায় তিনি দাবি করেছেন, টিকিট বিক্রির টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা পড়লেই তিনি দর্শকদের রিফান্ড বা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন।
পরস্পরবিরোধী বয়ানে রহস্য: টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা একটি রিসেলিং সংস্থার কর্তার সঙ্গে শতদ্রু দত্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে বিধাননগর পুলিশ। সেখানে শতদ্রু জানান, টাকা তাঁর হাতে নেই। অন্যদিকে, টিকিট বিক্রিকারী সংস্থাটির দাবি, চুক্তি অনুযায়ী বিক্রিত টাকার একটি অংশ ইতিমধ্যেই আয়োজক সংস্থাকে পাঠানো হয়েছে। এই দুই পক্ষের বয়ানে অমিল থাকায় পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হয়েছে।
আটকে রয়েছে বিশাল অঙ্কের টাকা: উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর সল্টলেক স্টেডিয়ামে চড়া দামে টিকিট কেটেও বহু দর্শক প্রিয় তারকা মেসির দেখা পাননি। এর পরেই ক্ষোভ ফেটে পড়েন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, অনুষ্ঠান ভেস্তে যাওয়ার পরই টিকিট বিক্রিকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন কোনো টাকা শতদ্রু দত্তকে না পাঠানো হয়। বর্তমানে সেই টাকা পুলিশের নির্দেশেই ‘ফ্রিজ’ বা আটকে রাখা হয়েছে।
তলব করা হল স্পনসরদের: তদন্তের জাল আরও গুটিয়ে আনতে অনুষ্ঠানের ৬টি বড় কর্পোরেট স্পনসর সংস্থাকে তলব করেছে বিধাননগর সিটি পুলিশ। এই সংস্থাগুলোর সঙ্গে শতদ্রু দত্তর ঠিক কী চুক্তি হয়েছিল এবং কত টাকার লেনদেন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই কর্তাদের তদন্তকারী দলের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। দর্শকদের টাকা শেষ পর্যন্ত কার পকেটে গেল, এখন সেটাই খুঁজে বের করতে চাইছে পুলিশ।