জোরপূর্বক কন্যা সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা! নদীয়ার শান্তিপুরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সংঘর্ষ, আটক গৃহবধূ

মা দাবি করে বিদ্যালয় থেকে জোরপূর্বক কন্যা সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগে নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরনো হালদারপাড়া প্রাইমারি স্কুল থেকে এক গৃহবধূকে আটক করল পুলিশ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এলাকাবাসীর হাতে আটক হওয়ার পর পুলিশ এসে গৃহবধূ ও শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটে এদিন সকালে, যখন গৃহবধূর কন্যা সন্তান বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। অভিযোগ, আচমকাই বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে ওই গৃহবধূ সন্তানকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাধা দিলে অভিযুক্ত গৃহবধূ নিজেকে শিশুটির মা বলে দাবি করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো প্রমাণ না থাকায় প্রধান শিক্ষক তাঁকে শিশুটিকে নিয়ে যেতে নিষেধ করেন। অভিযোগ, এরপরেই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে গৃহবধূর ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এই দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী ছুটে আসেন এবং গৃহবধূ এলাকার কয়েকজন মহিলা ও যুবককে মারধর করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

আইনি জটিলতা ও পালানোর অভিযোগ:

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিগত কিছুদিন ধরে অন্যত্র সম্পর্ক হওয়ায় ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন এবং এর আগেও একবার আত্মীয়দের দিয়ে বাচ্চাকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এদিনও তিনি শিশুটিকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ করেন শাশুড়ি সহ এলাকাবাসীর অনেকেই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এই পরিস্থিতিতে শান্তিপুর থানায় খবর দেন। তিনি জানান, “আইনিভাবে সবকিছু করা যায়, কিন্তু এইভাবে জোরপূর্বক কিছু করা উচিত নয়। শিশুকন্যাটি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কৈফিয়ত দিতে হতো।”

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গৃহবধূকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত গৃহবধূ তার শ্বশুরবাড়ির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি বাচ্চা নিতে নয়, বরং দেখা করতে এসেছিলেন এবং তাকেই মারধর করা হয়েছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy