আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে রাজ্য বিজেপি তাদের সাংগঠনিক কাঠামোকে ঢেলে সাজাচ্ছে। শুক্র থেকে রবিবার পর্যন্ত পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজ্যের ৪৩টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি গঠনের জন্য লাগাতার বৈঠক করেছে গেরুয়া শিবির। যদিও এই বৈঠকের শেষ দিন ছিল সোমবার, দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যেই জেলা কমিটিগুলির চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।
চার দিন ধরে চলা এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল জেলা কমিটি গঠন প্রক্রিয়াকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া। বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনে প্রতিটি জেলার সভাপতি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বকে নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়। শুধুমাত্র জেলা কমিটিই নয়, রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব যুব মোর্চা, মহিলা মোর্চা, তফসিলি জাতি ও উপজাতি মোর্চা, কিষাণ মোর্চা, ওবিসি মোর্চা-সহ মোট সাতটি মোর্চার সঙ্গেও পৃথক পৃথক বৈঠক করেছেন।
এই কমিটি গঠনে কারা অগ্রাধিকার পাবেন, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল। দলীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বের মূল লক্ষ্য হলো দলে যাতে ‘আদি’ এবং ‘নব্য’ কর্মীদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব না তৈরি হয়। এই কারণে পুরনো এবং নতুন নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে। নতুন নেতা-কর্মীদের কোনোভাবেই বাদ দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে, সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থাকা কর্মীদেরও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, নতুন এবং পুরনো নেতৃত্বের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে কমিটি গঠন করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি, যাতে সব স্তরের কর্মীরা সন্তুষ্ট থাকেন।
কমিটি গঠনের এই প্রক্রিয়া বিজেপির সাংগঠনিক মজবুত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে এই নতুন কমিটিগুলি দলের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে এবং তৃণমূল স্তরে পৌঁছাতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।