ছোটপর্দার জনপ্রিয় জুটি দিতিপ্রিয়া রায় ও জিতু কমলের মধ্যেকার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে। সম্প্রতি দিতিপ্রিয়া তার সহ-অভিনেতা জিতু কমলের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর’ মেসেজ করার অভিযোগ আনলে এই বিতর্ক শুরু হয়। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিতু মঙ্গলবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট ফাঁস করে দিয়েছেন। এই ঘটনায় টলিপাড়ায় জোর শোরগোল পড়েছে।
সোমবার দিতিপ্রিয়া জিতুর নাম না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তিনি জানান, জিতু তার হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিকর মেসেজ করেছেন। যদিও এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে জিতু মুখ খুললেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো মন্তব্য করেননি। তবে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতেই অভিনেতা মঙ্গলবার তার অবস্থান স্পষ্ট করতে দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কথোপকথনের স্ক্রিনশট প্রকাশ করেন।
জিতুর শেয়ার করা স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা যায়, দিতিপ্রিয়া ও জিতুর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ কথাবার্তা চলছে। সেখানে তাদের ভাইরাল হওয়া এআই-জেনারেটেড কিসিং ছবি, দিতিপ্রিয়া গর্ভবতী কিনা—এমন নানা বিষয় নিয়ে হালকা ঠাট্টা-মজা করা হয়েছে। অবাক করার বিষয় হলো, চ্যাটের সময় দিতিপ্রিয়া এই ধরনের কোনো কথায় আপত্তি জানাননি, বরং তিনিও হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমেই জবাব দিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করে সোমবার দিতিপ্রিয়া তার অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জিতু একটি দীর্ঘ পোস্ট লিখে এই চ্যাটগুলো শেয়ার করেন। তিনি বলেন, “নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আমি কখনোই সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনরকম মতামত দিই না। কিন্তু এটা তো নিছক ব্যক্তিগত নয়। এটা পেশাগত একটা ছোট্ট থেকে ছোট্টতর সমস্যা।” তিনি আরও বলেন যে, দিতিপ্রিয়া হয়তো না বুঝেই এই কাজটি করেছেন এবং এর গভীরতা সম্পর্কে তিনি অবগত নন। জিতু জানান, তিনি দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে শুটিং সেট-এও কাজ ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলেন না, তাদের সব কথা হোয়াটসঅ্যাপেই হয়। তিনি পোস্টের শেষে বলেন, “ভুল হলে সরাসরি বলবেন আমি নিজেকে পাল্টে নেবো।”
জিতু দিতিপ্রিয়ার ফোন নম্বর গোপন রেখে চ্যাটের স্ক্রিনশটগুলি প্রকাশ করেন। তিনি পোস্টে আরও যোগ করেন, “ভিকটিম কার্ড খেলাটা আমাদের সমাজে প্রথম নয়। অনেক উদাহরণ আছে কিন্তু এই মেয়েটির কোনও দোষ নেই, এই মেয়েটি নিরপরাধ। এই মেয়েটিকে পেছন থেকে প্রবঞ্চনা দেওয়া হচ্ছে।” শেষে তিনি দিতিপ্রিয়ার প্রেমিককে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, দিতিপ্রিয়া তার প্রেমিকের জন্য জীবন পর্যন্ত দিতে পারেন, তাই তার যেন যত্ন নেওয়া হয়। এই ঘটনা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।