শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় সাড়ে তিন বছর হেফাজতে থাকার পর জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জামিন পাওয়ার পরও প্রায় এক মাস কেটে গেলেও, বিধানসভা কর্তৃপক্ষকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর জামিন সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি। এটি গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে বিধানসভার আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে।
বিধানসভার নিয়ম অনুসারে, যদি কোনো বিধায়ক হেফাজতে থাকেন এবং পরে বেকসুর খালাস পান বা জামিন পান, তবে গ্রেফতারকারী সংস্থা বা জেল কর্তৃপক্ষকে বিধানসভা কর্তৃপক্ষকে সেই বিষয়ে জানাতে হয়। বিধানসভা আইন ও কার্যাবলীর ২৩২ নম্বর ধারা অনুসারে এই পদক্ষেপ বাধ্যতামূলক। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে তথ্যটি প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের জানানোর কথা ছিল। সূত্র অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ বিধানসভাকে এই বিষয়ে অবহিত করেনি।
সাড়ে তিন বছরের হেফাজত:
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার হন। ইডি, সিবিআই এবং জেল মিলিয়ে তিনি প্রায় সাড়ে তিন বছর হেফাজতে ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালেও থাকতে হয়েছিল। চলতি বছরের ১০ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে তাঁর জামিন নিশ্চিত হয়। পরদিনই, অর্থাৎ ১১ নভেম্বর তিনি বাড়ি ফেরেন এবং সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্যও করতে দেখা যায় তাঁকে।
জামিন পাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিধানসভাকে যথাসময়ে না জানানোয় আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেল কর্তৃপক্ষের এই বিলম্বের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।