জম্মু ও কাশ্মীর-এর কুপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে ভারতীয় সেনা এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের একটি বড়সড় প্রচেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি।
আইজিপি কাশ্মীর নিশ্চিত করেছেন যে সংঘর্ষের পর দুটি জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এলাকায় এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে। অনুপ্রবেশের চেষ্টার খবর পেয়েই নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। সীমান্তের ওপার থেকে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে জঙ্গি কার্যকলাপ আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সংঘর্ষকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে আছে বলে সন্দেহে সেনাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে। ড্রোন এবং স্নিফার ডগ ব্যবহার করে চিরুনি তল্লাশি চলছে।
জঙ্গিদের আস্তানায় রকেট লঞ্চার ও রাইফেল উদ্ধার:
এনকাউন্টারের মধ্যেই, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ যৌথ অভিযানের মাধ্যমে ওয়ারসান এলাকার ব্রিজথর জঙ্গলে একটি বড় জঙ্গি ঘাঁটি আবিষ্কার করে। শ্রীনগরে অবস্থিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কর্পসের তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান শুরু হয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে দুটি একে-সিরিজ রাইফেল, চারটি রকেট লঞ্চার, বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ এবং অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রী। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের মজুত প্রমাণ করে যে সীমান্ত পার করে জঙ্গিরা বড় ধরনের নাশকতার ছক কষছিল। এলাকায় লুকিয়ে থাকা অন্যান্য জঙ্গিদের খুঁজে বের করার জন্য অনুসন্ধান অভিযান এখনও পুরোদমে চলছে।
কুলগামের ঘটনার পর ফের তৎপরতা:
উল্লেখ্য, কুপওয়ারার এই ঘটনার আগে কুলগাম জেলার গুদ্দার জঙ্গলেও সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে একটি সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয় এবং দুজন সেনা শহিদ হন। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজন ছিল লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত ওয়ান্টেড জঙ্গি আমির আহমেদ দার। সীমান্ত পার করে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বিএসএফ এবং অন্যান্য বাহিনীর সাথে একযোগে অভিযান চালাচ্ছে।