কানপুর শহরের নাজিরাবাদ থানা এলাকার মারিয়ামপুর রেললাইন সংলগ্ন এক শান্ত পাড়ায় ঘটে গেল এমন এক অদ্ভুত ঘটনা, যা শুনে চোখ কপালে উঠেছে সকলের। গভীর রাতে চুরি করতে এসে এক চোর যা কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা রীতিমতো ফিল্মি গল্পকেও হার মানাবে।
ঘটনাটি ঘটেছিল গভীর রাতে। এক ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় প্রথমে এলাকার দুটি ভাইয়ের বাড়ির একটিতে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে সে কিছু নগদ টাকা ও গয়না চুরি করে নেয়। এরপর সে নিঃশব্দে পাশের বাড়িতেও প্রবেশ করে। সেই বাড়িতেও সে একইভাবে আলমারি খুলে মূল্যবান জিনিসপত্র সংগ্রহ করে। কিন্তু সেখানেই ঘটে এক চরম অপ্রত্যাশিত মোড়।
চোর এতটাই মাতাল ছিল যে, পালানোর বদলে সে চুরির কাজ শেষ করেই বাড়ির একটি বিছানায় শুয়ে পড়ে! গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে সে ভুলেই যায় যে সে মাঝরাতে অপরাধস্থলে রয়েছে।
পরদিন সকালে, ঘরের লোকেরা ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে, তাঁদের ঘরে একজন অপরিচিত ব্যক্তি ঘুমিয়ে আছে। এই দৃশ্য দেখে তাঁরা আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন। দ্রুত ঘর খুঁজে দেখা যায়, আলমারি ভাঙা এবং মূল্যবান গয়না উধাও। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘুম থেকে তুলে তল্লাশি করতেই, তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া সব গয়না ও নগদ টাকা পাওয়া যায়।
পরিবারটি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের ডাকে। উত্তেজিত জনতা চোরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং মামলা রুজু করে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
দিল্লিতে ডাকাতির ঘটনা:
একই দিনে দিল্লির চাঁদবাগ এলাকাতেও ঘটে গেছে আরও এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা। চার-পাঁচজন অস্ত্রধারী ব্যক্তি একটি গয়নার দোকানে ঢুকে মালিক ও ক্রেতাদের বন্দি করে টাকা ও গয়না লুঠ করে পালিয়ে যায়।
এই দুটি ঘটনাই প্রমাণ করে যে, অপরাধীদের কৌশল যেমন পাল্টাচ্ছে, তেমনই কিছু ক্ষেত্রে তাদের ভুলের খেসারতও তাৎক্ষণিকভাবে দিতে হচ্ছে। আর কানপুরের ঘটনাটি তো দেখিয়ে দিল যে, কিছু ভুল ঘুমের মধ্যেই ধরা পড়ে যায়!