২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল বিহারের প্রভাবশালী রাজনৈতিক জোট মহাগঠবন্ধন। ‘তেজস্বী কা প্রণ’ (তেজস্বীর সংকল্প) শিরোনামের এই ইস্তেহারে সরাসরি সাধারণ মানুষকে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেওয়ার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে, যা রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
মহাগঠবন্ধনের পক্ষ থেকে তিনটি প্রধান প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যা যুব সমাজ ও মহিলা ভোটারদের মধ্যে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে:
ইস্তেহারে মহাগঠবন্ধনের ৩টি বড় প্রতিশ্রুতি
১. প্রতি পরিবারে সরকারি চাকরি: মহাগঠবন্ধনের সবচেয়ে বড় ঘোষণা হলো রাজ্যের প্রতি পরিবারে একটি করে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। কর্মসংস্থানের এই প্রতিশ্রুতি যুব সমাজের মধ্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
২. মহিলাদের জন্য মাসিক ভাতা: মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে মাসে মাসে ২,৫০০ টাকা ভাতা দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জীবনে এটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
৩. ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে: প্রতিটি পরিবারের জন্য প্রতি মাসে ২০০ ইউনিট বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ ও শহুরে এলাকার জনগণের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
এছাড়াও ইস্তেহারে শিক্ষাক্ষেত্র, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক চাপানউতোর ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ
মহাগঠবন্ধনের এই সরাসরি উপকারমূলক ইস্তেহার সাধারণ জনগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলেও, বিরোধী দলগুলি এর বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
বিরোধীদের প্রশ্ন: তারা বলছে, প্রতিশ্রুতিগুলি শুনতে ভালো লাগলেও, বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব তা দেখার বিষয়। এই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট ও প্রশাসনিক সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মহাগঠবন্ধন যদি তাদের এই বড় প্রতিশ্রুতিগুলি বাস্তবায়ন করতে পারে, তবে এটি তাদের জন্য বড় ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করবে এবং বিহারের রাজনীতিতে একটি নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে।