২০১৯ সালের পর এবং গালওয়ান সংঘর্ষের পর এই প্রথমবার চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ৩১শে আগস্ট থেকে ১লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি বেজিং যাবেন। এই সফর ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২০ সালে অরুণাচল প্রদেশের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে ভারত ও চিনের সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায়। এরপর সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন স্থানে সেনা মোতায়েন নিয়ে দু’দেশের মধ্যে প্রায়শই উত্তেজনা তৈরি হতো। তবে, গত বছর অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদীর সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। ওই বৈঠকের পর দু’দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর সেনা সরানোর ঘোষণা করে।
এই বছর ভারত ও চিনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সফর হয়েছে। জুলাই মাসে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বেজিংয়ে প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। এর আগে জুনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও চিন সফর করেছিলেন। এই সফরগুলির পর দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফরের আগে তিনি জাপানও যেতে পারেন। ২৯শে আগস্ট জাপানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করার পর তিনি বেজিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদীর এই সফরে বাণিজ্যনীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হতে পারে। আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের প্রেক্ষিতে জাপান ও চিনের সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক আঁতাত গড়ে তোলার বিষয়ে ভারত উদ্যোগ নিতে পারে।
এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী এই সফরে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিন ও জাপানের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়েও আলোচনা করতে পারেন। এই সফর দুই দেশের মধ্যেকার পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও গভীর করবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।