২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ভিন্ন প্রকৃতির নৃশংস ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া জেলায়। পুরুলিয়া শহর এলাকায় যেমন এক ব্যক্তির গলা কাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে, তেমনই কালীপুজোর রাতে ডাইনি অপবাদ দিয়ে আদিবাসী এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেই।
ধবঘাটা হত্যাকাণ্ড: আত্মহত্যা না খুন?
পুরুলিয়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধবঘাটা এলাকার বাসিন্দা সন্ন্যাসী বাউড়িকে (৪২) আজ তাঁর পরিবারের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। গলায় ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাত ছিল।
হাসপাতালে মৃত্যু: তড়িঘড়ি তাঁকে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রহস্য: এই ঘটনার পরেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। আত্মীয়দের দাবি, ওই ব্যক্তি নিজেই গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিশ কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কালীপূজার রাতে ‘ডাইনি’ অপবাদে খুন
অন্যদিকে, কালীপুজোর রাতে কুসংস্কারের বলি হলেন এক আদিবাসী মহিলা। পুরুলিয়ার পাড়া থানার চাপুরি গ্রামের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত মহিলার নাম পদবী টুডু (৩৭)।
পরিবারের অভিযোগ: মৃতার স্বামী ও মেয়ের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পদবী টুডুকে তারই পরিবার ও আত্মীয়দের একাংশ ‘ডাইনি’ বলে অপবাদ দিত।
খুনের অভিযোগ: সেই শত্রুতার জেরেই কালীপুজোর রাতে পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হয় এবং সেই ঝামেলার মাঝেই দেওর-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুরুলিয়া সদর থানা এবং পাড়া থানার পুলিশ এই দুটি নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।