কলকাতা। ভারতের ২৭২ জন বিশিষ্ট নাগরিক, যাঁদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, রাহুল গান্ধীর বারবার ‘ভোট চুরি’-র অভিযোগের কারণে ভারতীয় গণতন্ত্রের মূল প্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘বিষোদগারী এবং প্ররোচনামূলক বক্তব্যের ধারা বাড়ছে’।
চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে, কিছু রাজনৈতিক নেতা জনগণের কাছে বাস্তবসম্মত নীতির বিকল্প তুলে না ধরে উস্কানিমূলক ও প্রমাণহীন অভিযোগে আশ্রয় নিচ্ছেন। বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই ধরনের বক্তব্য দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জন-আস্থা ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
আদালত থেকে নির্বাচন কমিশন—সবাইকে নিয়ে প্রশ্ন:
খোলা চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা উল্লেখ করেছেন, রাহুল গান্ধী একে একে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলিকে আক্রমণ করেছেন:
-
আক্রমণ ১: প্রথমে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাফল্য ও সাহস নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
-
আক্রমণ ২: পরে বিচারব্যবস্থার ন্যায্যতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সংসদ ও সাংবিধানিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরোধিতা করা হয়েছে।
-
আক্রমণ ৩: “এখন নির্বাচনী কমিশনের পালা, যার সততা এবং খ্যাতি নিয়ে পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক হামলা করা হচ্ছে।”
চিঠিতে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে ‘দায়িত্বহীন’ এবং ‘অপ্রমাণিত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের মতে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি এই ধরনের অভিযোগ জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
সতর্ক বার্তা:
স্বাক্ষরকারীরা মনে করেন, রাজনৈতিক বিরোধিতা ও সমালোচনা স্বাভাবিক হলেও তা যেন প্রমাণভিত্তিক এবং সংবিধানসম্মত হয়। উস্কানিমূলক, ভিত্তিহীন এবং প্রতিহিংসাপূর্ণ মন্তব্য সমাজে বিভাজন এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এই চিঠিটিকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক নেতাদের প্ররোচনামূলক মন্তব্য এড়িয়ে দেশের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখার প্রয়াসকে জোর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।