দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম প্রধান ফুসফুস এবং বিরাট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত রবীন্দ্র সরোবরের (Rabindra Sarobar) রাতের সমস্ত আলো এবার সৌরবিদ্যুতে (Solar Power) জ্বালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি বা কেএমডিএ (KMDA)। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক, দেশবন্ধু পার্কের মতো বেশ কয়েকটি পৌর উদ্যানে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ খরচ কমানোর সফলতা পাওয়ার পরই কেএমডিএ এই বৃহৎ উদ্যোগটি নিতে চাইছে।
খরচ কমানোর চ্যালেঞ্জ
রবীন্দ্র সরোবর একটি বিশাল জায়গা। বর্তমানে পর্যাপ্ত আলো দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই এই বাড়তি খরচে লাগাম টানতেই এবার সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশা, এতে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা সাশ্রয় হবে।
কেএমডিএ সূত্রে খবর, সরোবর চত্ত্বরে গাছপালা বেশি থাকায় সোলার প্যানেল বসানো একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ, আলোক স্তম্ভগুলোতে প্যানেল বসালে তা পর্যাপ্ত সূর্যালোক নাও পেতে পারে। তাই সোলার প্যানেল কোন জায়গায় লাগানো যায়, সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে নজরুল মঞ্চের আশপাশে কিংবা অন্য কোনো উপযুক্ত জায়গায় এই প্যানেল বসানো যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ
কেএমডিএ-র এক কর্তা জানান, সরোবর নিয়ে পরিবেশ কর্মীদের চোখ সব সময় থাকে। পলি তোলার প্রক্রিয়ার পর এই সৌর বিদ্যুতের বাস্তবায়ন আরও একটি পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ হবে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। গ্রিন জোন রক্ষা করতে সেখানে যদি সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়, তাহলে সেটা স্বাগত। এর জেরে সেখানে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার যে প্রচেষ্টা, সেটা ত্বরান্বিত হবে।”
প্রাথমিকভাবে সরোবর চত্ত্বরের আলো সৌরশক্তিতে জ্বালানো সম্ভব হলে, ভবিষ্যতে সেখানে থাকা বিভিন্ন অফিস ভবন ও নজরুল মঞ্চের ক্ষেত্রেও এই বিকল্প শক্তি ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করা হবে।