খড়দহের রিজেন্ট পার্কে একটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত মধুসূদনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া প্রত্যেকটি রিভলভার ও কার্তুজ ফ্যাক্টরি মেড, যা লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনা হয়। এই অস্ত্র কোথা থেকে এবং কী উদ্দেশ্যে আনা হচ্ছিল, তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আর্মস ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ জানিয়েছে, মধুসূদনের সঙ্গে অস্ত্র ডিলারদের যোগাযোগ থাকতে পারে। পুলিশ সূত্রে খবর, মধুসূদন নিজের স্কুটির সিটের নিচে করে অস্ত্র এবং কার্তুজ ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতেন এবং ডেলিভারিও করতেন। এটি তার অস্ত্র কারবারের একটি কৌশল ছিল।
মহিলাদের মাধ্যমেও অস্ত্র পাচার?
আবাসনের বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন, মধুসূদনের বাড়িতে প্রায়ই মহিলারা যাতায়াত করতেন। পুলিশ ধারণা করছে, এই মহিলাদের মাধ্যমেই অস্ত্র আনা-নেওয়া চলত। এর ফলে প্রতিবেশীরা তার বেআইনি কার্যকলাপ সম্পর্কে কোনো সন্দেহ করতে পারেননি। প্রতিবেশীদের প্রশ্নের জবাবে মধুসূদন বলতেন, ওই মহিলারা বাড়ির কাজ বা রান্নার জন্য আসেন। তবে কিছুদিন পরপরই এই মহিলারা বদলে যেতেন।
আবাসিকদের সিদ্ধান্ত
এই ঘটনার পর প্রতিমা মঞ্জিলের আবাসিকরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, মধুসূদনকে আর এই ফ্ল্যাটে থাকতে দেওয়া হবে না। এছাড়াও, নিরাপত্তার কারণে আবাসনের প্রতিটি গেটের তালা বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সুদের ব্যবসার টাকায় অস্ত্র কারবার
পুলিশের জেরায় মধুসূদন স্বীকার করেছেন যে তিনি সুদের ব্যবসা করতেন এবং সেই ব্যবসার লাভের টাকা দিয়েই অস্ত্র কারবারে নামেন। তিনি পুরনো মুদ্রা সংগ্রহ ও বিক্রির শখের কথাও পুলিশকে জানিয়েছেন। পুলিশ মনে করছে, তার বেআইনি কারবার জানাজানি হওয়ার ভয়ে মধুসূদন কোনো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় চার থেকে পাঁচ বছরের বেশি থাকতেন না। সোদপুর, পানিহাটির পর তিনি খড়দহে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের খুঁজছে।