উৎসবের মরশুমের মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল। খুদে শিশুদের কোলে নিয়ে বাড়িতে হানা দিয়ে টাকা, পয়সা ও গয়না লুঠ করার অভিযোগ উঠেছে দুই মহিলার বিরুদ্ধে। তবে চুরি করা সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেওয়ার আগেই স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে হাতেনাতে ধরা পড়ে তারা।
आशा কর্মীর বাড়িতে লুঠপাট
চাঞ্চল্য ছড়ানো এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সাতসকালে। দেগঙ্গা ব্লকের সোহাই কুমারপুর গ্রামের সাবিনা বিবি নামে এক আশা কর্মীর বাড়িতে তালা ভেঙে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা।
লুঠের পদ্ধতি: আশা কর্মী সাবিনা বিবি এবং তাঁর স্বামী কেউ বাড়িতে ছিলেন না। দুষ্কৃতীরা সেই ফাঁকা বাড়িতে তালা ভেঙে ঢুকে রুপোর গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।
আকর্ষণ: স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই মহিলারা এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর জন্য ফাঁকা বাড়িকে লক্ষ্য করে বসে থাকত এবং কোলে ছোট শিশু থাকায় সহজে কেউ তাদের সন্দেহ করত না।
পাশের গ্রামে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল অভিযুক্তরা
সোহাই কুমারপুর গ্রামে লুঠপাট চালানোর পর দুষ্কৃতীরা যখন পাশের গাঙাআটি গ্রামে ফের চুরি করতে যায়, তখনই স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে হাতেনাতে ধরা পড়ে দুই মহিলা চোর। স্থানীয়রা তাদেরকে ধরে আটকে রাখে।
এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রামবাসীরা জানতে পারেন যে সোহাই কুমারপুর গ্রামের আশা কর্মীর বাড়িতেও তারাই চুরি করেছে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তখন ওই দুই মহিলাকে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে এবং আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ধৃতদের কাছ থেকে রুপোর গয়না ও নগদ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।