চন্দননগরের ‘পরিবর্তন সংকল্প সভা’ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করলেন বিজেপির তারকা নেতা তথা মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। ওপার বাংলায় সংখ্যালঘু যুবক দীপু দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং তার প্রতিবাদে এপার বাংলায় হওয়া মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। চন্দননগরের মাটি থেকে রাজ্য সরকারকে চরম কটাক্ষ করে মিঠুন স্পষ্ট জানান, কোনও অশুভ শক্তিকেই বাংলার মাটি কেড়ে নিতে দেবেন না তিনি।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “যতদিন আমার শরীরে এক ফোঁটা রক্ত আছে, ততদিন কোনও ‘মাই কা লাল’ এই পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ করতে পারবে না।” তাঁর এই মন্তব্য বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলে তিনি অভিযোগ করেন যে, প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নিতে পুলিশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিন চন্দননগরের সভা থেকে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মিঠুন। তিনি বলেন, “নিজেদের অধিকার রক্ষায় একজোট হওয়া ছাড়া আর কোনও পথ নেই।” মিঠুনের কথায়, বাংলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি রক্ষা করাই এখন বিজেপির প্রধান সংকল্প। উল্লেখ্য, ওপার বাংলায় দীপু দাসের ওপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদে এপার বাংলায় যখন বিক্ষোভ দানা বাঁধছে, ঠিক সেই সময় মিঠুন চক্রবর্তীর এই ‘বাংলাদেশ’ মন্তব্য এবং ‘হিন্দু ঐক্য’-এর ডাক বঙ্গ রাজনীতিতে এক নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সভা শেষে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।