দিনহাটা ১ ব্লকের খাদিজা ভূতকুরা গ্রামের বাসিন্দারা এখন কাঁটা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন। টানা বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় এলাকার কৃষি জমি ও বাড়িঘরে জল ঢুকছে। এই সমস্যার মূল কারণ হলো নদীতে কোনো বাঁধ না থাকা এবং একটি মজবুত সেতুর অভাব।
বর্ষাকালে সাধারণত শুকনো থাকা এই কাঁটা নদী বর্ষার সময় ফুলে ফেঁপে ওঠে। নদীর জলের গভীরতা বাড়লে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকে পড়ে। প্রতি বছরই এই সময়ে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে কৃষি জমি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সমস্যা বহু বছরের পুরোনো।
নদীর ওপর একটি পাকা সেতুর অভাবে এলাকার ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বর্তমানে পাটকাঠি, বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে তৈরি একটি নড়বড়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে তাদের পারাপার করতে হয়। পড়ুয়ারা বলছেন, এই সাঁকোটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। জলস্তর বেশি হলে নৌকার মতো ছোট ভেলায় করে নদী পার হতে হয়, যার জন্য প্রতিদিন ১০ টাকা খরচ হয়। এই পারাপারের সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে।
খাদিজা ভূতকুরা গ্রামের এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গৌড় সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনেক ছাত্রছাত্রী এই নদী পার হয়ে পড়তে যায়। তাদের প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
এই পরিস্থিতি সম্পর্কে জেলা পরিষদের সদস্য শ্রাবণী ঝাঁ বলেন, “আমি নির্বাচনী প্রচারে এসে এই এলাকার পরিস্থিতি দেখেছি এবং ছাত্রছাত্রীদের দুর্দশা দেখে মর্মাহত হয়েছি। দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ এবং নদী বাঁধের জন্য আমি প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।” গ্রামবাসীরাও এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।