বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোচবিহারে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। মঙ্গলবার তার কনভয়ে লাঠি দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই হামলার পর শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে বলেন, তাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্যই এই আক্রমণ করা হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, “আমাকে মেরে ফেলার জন্য পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে করা হয়েছে।” শুভেন্দু দাবি করেন, পুলিশ এই হামলার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে এবং এই হামলায় তাদেরও পরোক্ষ মদত ছিল। তার মতে, পুলিশও বিরোধী দলনেতাকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল।
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে এই হামলার পিছনে তৃণমূলের একটি সুসংগঠিত চক্রান্ত রয়েছে। তারা এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের উপর আঘাত হিসেবে দেখছে। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে তারা রাজ্যজুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলবেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাবেন।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজেপি মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার পর কোচবিহারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদে বিজেপি আগামী দিনে বড় ধরনের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।