কাঁটাতারের ওপারে থেকেও বাবার শেষ মুখ দেখতে পারলেন বাংলাদেশের বাসিন্দা মেয়ে। সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ (BSF) এবং বিজিবি (BGB)-র সহযোগিতায় বাগদা সীমান্তে এই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া মানবিকতার দৃষ্টান্ত তৈরি হলো।
ভারতের বাঁশঘাটা গ্রামের বাসিন্দা জুব্বার মণ্ডলের মৃত্যুর পর, তাঁর মেয়ে মিটু মণ্ডল বাবাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য আকুতি প্রকাশ করেন। মিটু মণ্ডল বাংলাদেশের যশোর জেলার বেনাপোলের বাসিন্দা। এই আর্জি দ্রুত পৌঁছে যায় ৫৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের বিএসএফের কাছে।
কাঁটাতারের ওপার থেকেই শেষ দর্শন:
এরপরই শুরু হয় তৎপরতা। বিএসএফ দ্রুত বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)-র সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। অবশেষে, মুস্তাফাপুর সীমান্তের জিরো লাইনে মৃত বাবাকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয় মেয়ে মিটু মণ্ডলকে।
কাঁটাতারের ওপার থেকেই বাবাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মিটু মণ্ডলসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এই বিশেষ ব্যবস্থার জন্য পরিবারের তরফে বিএসএফ ও বিজিবির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
মানবিকতার দৃষ্টান্ত:
সাধারণত সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নানা সময় নানা অভিযোগ উঠলেও, এই ঘটনা দেখাল— কীভাবে কঠিন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানবিকতা এবং সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত যোগাযোগের ফলেই মৃত্যুর পর বাবার মুখ দেখা সম্ভব হলো মেয়ের।