দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ থাকার কারণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর ঘাটতি এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক পদের প্রায় ৫০ শতাংশ এবং শিক্ষাকর্মীর পদের ৭০ শতাংশেরও বেশি শূন্য। অবশেষে, এই বিপুল শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এই নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে ভয়ঙ্কর ছবি:
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মোট শিক্ষক পদ রয়েছে ৮৬০টি, যার মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ৪৫৫টি। অন্যদিকে, শিক্ষাকর্মীর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ—মোট প্রায় ৫,০০০ পদের বিপরীতে বর্তমানে মাত্র ১,৫০০ জন কর্মী কর্মরত। শেষবার শিক্ষাকর্মী নিয়োগ হয়েছিল ২০০৫-০৬ সালে। এর ফলে প্রশাসনিক কাজেও মারাত্মক ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
সংকট এতটাই প্রকট যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে শিক্ষক সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে কম। বর্তমানে এমবিএ, জার্নালিজম এবং নিউরোসায়েন্সের মতো বিভাগে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০টি বিভাগের মধ্যে বহু বিভাগেই শিক্ষকের সংখ্যা ১০-এর নীচে নেমে গেছে।
আইনি জট এড়িয়ে পুরনো বিজ্ঞপ্তিতেই নিয়োগ?
সিন্ডিকেট বৈঠকে শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং অনুমোদনও মেলে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আইনি দিককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, কারণ জাতিসংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে, ২০২২ সালে প্রকাশিত শেষ বিজ্ঞপ্তিটি থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা করছে। শীঘ্রই সেই কাজ শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, “প্রথমে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। সেই প্রক্রিয়া কিছুটা এগোলে শিক্ষাকর্মীদের স্থায়ী পদে নিয়োগ শুরু হবে। যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগ সম্পন্ন করা প্রয়োজন।”