কলকাতার বুকে অবস্থিত ‘গুলশান কলোনি’ এখন এক বড় প্রশ্নের মুখে। এই কলোনির জনসংখ্যা এবং ভোটার তালিকার মধ্যেকার গুরুতর অসঙ্গতি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তথাকথিত এই ‘অন্ধকূপ’-এ প্রায় ১ লাখ থেকে ১.৫ লক্ষ বাসিন্দা বসবাস করলেও, ভোটার তালিকায় তালিকাভুক্ত ভোটারের সংখ্যা মাত্র ৩,০০০।
গুরুতর অসঙ্গতি ও বহিরাগতের অভিযোগ: মুসলিম অধ্যুষিত এই কলোনিতে ভোটার সংখ্যার এই অস্বাভাবিক কম পরিসংখ্যান স্থানীয়দের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ উঠেছে, এখানকার বহু বাসিন্দা বহিরাগত রাজ্য থেকে এসেছেন। ‘সিলেক্টিভ ইনক্লুশন, রিভিশন অ্যান্ড ডিলিশন’ (SIR) বা ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়া শুরু হতেই এই অসঙ্গতি সামনে এসেছে।
-
বিশাল ব্যবধান: দেড় লক্ষ জনসংখ্যার তুলনায় ৩ হাজার ভোটারের সংখ্যা স্পষ্ট করে যে, বেশিরভাগ বাসিন্দারই বৈধ ভারতীয় নাগরিক হিসাবে ভোটার তালিকায় নাম নেই।
-
বাংলাদেশী মুসলিমের বাস?: কলোনিটিকে কেন্দ্র করে গুঞ্জন রয়েছে যে, এখানে মূলত বাংলাদেশী মুসলিমদের বাস। যদিও এই অভিযোগের কোনও সরকারি প্রমাণ নেই, তবুও ভোটার তালিকার অসঙ্গতি সন্দেহের তীর বাড়িয়েছে।
BLO ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব কেন নীরব? এই গুরুত্বপূর্ণ অসঙ্গতি প্রসঙ্গে বুথ লেভেল অফিসার (BLO) এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের নীরবতা আরও সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনার সময় এই বিশাল সংখ্যক ‘বহিরাগত’ বা ‘অবৈধ ভোটারের’ নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায়, এই অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব কেন নীরব, সেই প্রশ্ন উঠছে।
এই ঘটনা কেবল নির্বাচনী তালিকা নিয়ে নয়, রাজ্যের নাগরিক পরিচয় এবং নিরাপত্তা নিয়েও একটি বড় সতর্কতা জারি করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত এই অসঙ্গতি খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।