কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানে যে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা হয়েছিল, তার তদন্তে এবার একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গতকাল অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করার পর বেশ কিছু বিস্ফোরক দাবি সামনে এসেছে।
জেরায় শতদ্রু জানিয়েছেন, ফুটবল সম্রাট মেসি নিজেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছিলেন। মাঠের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত ভিড়ের একাংশ বারবার মেসির পিঠে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছিল এবং তাঁর একদম কাছে চলে আসছিল, যা বিশ্বজয়ী তারকা একেবারেই পছন্দ করেননি। বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিকদের কাছে কড়া ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে আয়োজকরা বারবার মাইকিং করেও দর্শকদের শান্ত করতে ব্যর্থ হন।
সবচেয়ে বড় তথ্য মিলেছে ‘গ্রাউন্ড অ্যাক্সেস কার্ড’ নিয়ে। শতদ্রুর দাবি, প্রথমে মাত্র ১৫০ জনের জন্য কার্ড বরাদ্দ থাকলেও বিভিন্ন মহলের ব্যাপক চাপে সেই সংখ্যা তিনগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই অনিয়ন্ত্রিত ভিআইপি প্রবেশই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তছনছ করে দেয়। এছাড়া আর্থিক লেনদেনের হিসেবও দিয়েছেন তিনি। মেসির সফরের জন্য ৮৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল এবং সরকারকে কর বাবদ দেওয়া হয়েছিল ১১ কোটি টাকা। মোট ১০০ কোটি টাকার এই রাজকীয় অনুষ্ঠানের খরচ মেটানো হয়েছিল স্পনসর এবং টিকিট বিক্রির টাকা থেকে। এখন এই বিপুল টাকার উৎস এবং নিরাপত্তা ঘাটতির দায় কার, তা খতিয়ে দেখছে সিট।