মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বাণিজ্য চাপ বাড়ালেন, ঠিক সেই দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে নতুন ‘কর্তব্যভবন’-এর উদ্বোধন করলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি দেশের পুনর্গঠন এবং ‘অমৃত কাল’-এর জন্য নতুন ভবনটির গুরুত্ব তুলে ধরেন, তবে আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ভারত সরকারের অনেক মন্ত্রক দিল্লির ৫০টিরও বেশি ভিন্ন স্থান থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এই মন্ত্রকগুলোর বেশিরভাগই ভাড়া করা ভবন থেকে পরিচালিত হয়, যার জন্য বার্ষিক প্রায় ১.৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়।” তিনি বলেন, এই নতুন ভবনটি নির্মাণের মাধ্যমে সরকারের এই বিপুল খরচ বাঁচবে।
মোদী আরও বলেন, “আমাদের সরকার একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশকে পুনর্গঠন করছে। অমৃত কালের সময়, এই নতুন ভবন থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং দেশের দিকনির্দেশনা এখান থেকেই নির্ধারিত হবে। কর্তব্যভবন একটি উন্নত ভারতের নীতি এবং দিকনির্দেশনা পরিচালনা করবে।”
১৫ই আগস্টের আগে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগস্ট মাস বিপ্লবের মাস এবং ১৫ই আগস্টের আগে, আমরা একের পর এক আধুনিক ভারত গঠনের সাথে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক মাইলফলকের একটি সিরিজ প্রত্যক্ষ করছি।” তিনি বলেন, কর্তব্যভবনটি কেবল একটি কাঠামো বা অবকাঠামোর অংশ নয়, বরং এখান থেকেই ‘বিকশিত ভারতের’ বীজ বপন করা হবে।
নতুন এই কর্তব্যভবন-০৩-এ স্বরাষ্ট্র, বিদেশ, গ্রামীণ উন্নয়ন, এমএসএমই, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রণালয় এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার কার্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকগুলি স্থানান্তরিত হবে। এই ভবনটি ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে নির্মিত পুরনো এবং জরাজীর্ণ ভবনগুলির বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
একদিকে যখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে ভারতের ওপর চাপ বাড়ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী দেশের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছেন।