স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনার ব্রত করবা চৌথের দিনেই দুই রাজ্যে ঘটল দুটি ভিন্ন ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা। পাঞ্জাবে উপোস থাকা অবস্থায় নাচতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো এক প্রৌঢ়ার। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে প্রথম করবা চৌথের দিনেই সামান্য পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হলেন এক তরুণী।
পাঞ্জাবে উৎসবের মাঝেই নেমে এলো শোক:
ঘটনাটি ঘটেছিল গত শুক্রবার (করবা চৌথের দিন) পাঞ্জাবের বারনালা জেলায়। মৃত প্রৌঢ়ার নাম আশা রানি (৫৯)। স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় তিনি সারাদিন উপোস রেখেছিলেন।
পুলিশ ও সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১০ অক্টোবর করবা চৌথ উপলক্ষে বাড়িতে এবং প্রতিবেশীর ঘরে ধুমধাম করে আয়োজন করা হয়েছিল। আশা রানি হলুদ শাড়িতে সেজে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে উৎসবে মেতেছিলেন। তিনি তখনো চাঁদ দেখে উপোস ভাঙেননি। প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদে তুমুল নাচানাচি করার সময় আচমকাই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন।
তৎক্ষণাৎ প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। করবা চৌথের দিনে আশারানির এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উত্তরপ্রদেশে সামান্য কারণে চরম সিদ্ধান্ত:
এদিকে, একই দিনে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে ঘটে আরও একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। এটি ছিল ২৫ বছর বয়সি তরুণী বাবলির বিয়ের পর প্রথম করবা চৌথ।
জানা গেছে, ১০ মাস আগে ধর্মপালের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। বাবলির খুব ইচ্ছে ছিল নতুন শাড়ি পরে প্রথম করবা চৌথ পালন করবেন। তিনি স্বামীর কাছে নতুন শাড়ির আবদারও করেছিলেন, কিন্তু ধর্মপাল সেই আবদার রাখেননি।
নতুন শাড়ি না পেয়ে বাবলি করবা চৌথের দিনেই স্বামীর সঙ্গে তুমুল ঝামেলা করেন। বচসা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে পরিবারের সদস্যরাও সামলাতে পারেননি। ধর্মপালের সঙ্গে ঝগড়ার কয়েক ঘণ্টা পর চরম পদক্ষেপ নেন বাবলি। তিনি বাড়ির মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। পরে ধর্মপাল তাঁকে খুঁজতে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
যদিও বাবলির আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে মাঝেমধ্যে ঝগড়া হতো। কিন্তু প্রথম করবা চৌথের দিনেই এমন চরম পরিণতি হবে, তা কেউ কল্পনাই করতে পারেনি। পুলিশ তরুণীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।