জনপ্রিয় কমেডিয়ান কপিল শর্মার কানাডায় অবস্থিত ‘ক্যাপস ক্যাফে’-তে এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় হামলার ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার সংঘটিত এই হামলায় দুষ্কৃতীরা ক্যাফে লক্ষ্য করে কমপক্ষে ২৫ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও, এটি কপিল শর্মার এবং তার ব্যবসার নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
এই হামলার পর দুটি ভিন্ন গ্যাংস্টার গ্রুপ, গোল্ডি ধিলন এবং লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং, আলাদাভাবে দায় স্বীকার করেছে। একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির কণ্ঠে হুমকির সুর শোনা যায়, “আমরা টার্গেটকে ফোন করেছিলাম, কিন্তু সে ফোন ধরেনি। তাই বাধ্য হয়ে কিছু ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। যদি এখনো আমাদের ফোন না ধরে, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ আমরা মুম্বইয়ে নেব।” এই হুমকি ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই ঘটনাটি প্রথমবার নয়। গত ৯ জুলাইও তার ক্যাফেতে হামলা হয়েছিল, যার দায় স্বীকার করেছিল খালিস্তানি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হরজিৎ সিং লাড্ডি। সেই হামলার পরেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরপর দুটি হামলার ঘটনায় কপিল শর্মার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং তার ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এনডিটিভি সূত্রে জানা গেছে, মুম্বই পুলিশ এবং ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তারা এই হামলাগুলির মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে। বিশেষ করে, গ্যাংস্টারদের পক্ষ থেকে মুম্বইয়ে হামলার হুমকির কারণে ভারতীয় গোয়েন্দারা এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। এই ধরনের আন্তর্জাতিক গ্যাংস্টার কার্যক্রমের বিস্তার দেশের সুরক্ষার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ।