আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (এসআইআর) ইস্যুটি পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতিতে একটি নতুন যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করেছে। এক দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছেন এবং ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছেন। অন্য দিকে, বিজেপি এই ইস্যুকে নিজেদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তৃণমূলকে পাল্টা চাপে ফেলতে চাইছে।
দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদারের বাসভবনে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনেরই প্রতিফলন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে এই বৈঠকে তৃণমূলের মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটার তালিকা সংশোধন একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এটি সরাসরি মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই তৃণমূল এটিকে কাজে লাগিয়ে সংখ্যালঘু এবং পিছিয়ে পড়া ভোটারদের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার করতে চাইছে, যাতে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়।
বিজেপির কৌশল সম্ভবত এর বিপরীত হবে। তারা সাধারণ মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করবে যে, এই প্রক্রিয়াটি আইনসম্মত এবং এটি কেবল সঠিক ভোটার তালিকা তৈরির জন্য জরুরি। একই সঙ্গে, তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ভয়’ ছড়ানোর অভিযোগ আনবে। বৈঠকে সংসদে শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলার বিষয়টি তোলার সিদ্ধান্তও প্রমাণ করে যে, বিজেপি একই সঙ্গে একাধিক ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে চাইছে। এই মাসেই দুই দলের মধ্যে এই ইস্যুতে তীব্র রাজনৈতিক লড়াই শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।